চলতি অর্থবছরের নভেম্বর মাসে সিগারেট খাতে সর্বোচ্চ ১৬০কোটি টাকা রাজস্ব জমা হয়েছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কুমিল্লার লাকসাম সার্কেলে। যা সিগারেট খাতে অবিশ্বাস্য সাফল্য।
কুমিল্লা কমিশনারেটের একমাত্র প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানী লিমিটেড এ রাজস্ব জমা করেন। প্রতিষ্ঠানটি করোনাকালের এসময়ে জুলাই থেকে নভেম্বর এ পাঁচমাসে ৪২০ কোটি রাজস্ব জমা দিয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ১৬০কোটি টাকা নভেম্বরে জমা হয়। আর জুলাইয়ে ১২৫কোটি, আগস্টে ১০০কোটি, সেপ্টেম্বরে ১২৫কোটি, অক্টোবর মাসে ১২৫কোটি টাকা জমা হয়।
সিগারেট খাতে নানামুখী অভিযান পরিচালনার কারণে রাজস্ব জমায় এধরণের সাফল্য এসেছে বলে যেমনি কুমিল্লা কমিশনারেটের কর্মকর্তাগণ মনে করছেন, তেমনি আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নকল-জাল ব্যান্ডরোল-স্ট্যাম্প বিশিষ্ট সিগারেট-বিড়ির বিরুদ্ধে প্রিভেন্টিভ অভিযান অব্যাহত থাকার কারণে বিগত সময়ের তুলনায় সিগারেটের চাহিদা ক্রমেই বেড়েছে। যার ফলে রাজস্ব জমার হারও বেড়েছে।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কুমিল্লার কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীর দিক নির্দেশনা ও সার্বিক তদারকিতে রাজস্ব জমা যেমনি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি অভিযানগুলোতে আসছে সাফল্য। আর এমনটিই বললেন, কমিল্লার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এদিকে সিগারেট খাতে রাজস্ব জমা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লাকসাম সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা জনাব মো. আমিনুল হক বলেন, ‘অভিযান পরিচালনার কারণে নকল,জাল,পুন:ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল আটক করা সম্ভব হয়েছে। সদর দপ্তর কুমিল্লার যথাযথ পর্যবেক্ষণের ফলে সিগারেট খাতে রাজস্ব বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।।’
কুমিল্লা কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন রিপন জানালেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও সাহস ও উদ্যম নিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ রাজস্ব আদায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলে সাফল্য আসছে। বিশেষ করে কমিশনার হিসেবে মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী যোগদানের পর তার অভিজ্ঞ দিকনির্দেশনায় সবদিক থেকে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। যা আমাদের কাজের ক্ষেত্রে বেশ প্রভাব ফেলছে।’
‘আলোকিত কাস্টমস, আলোকিত দেশ’ গড়ার লক্ষ্যে ‘অতিক্রম নয়-ব্যতিক্রম’ নীতিতে কাজ করছে কুমিল্লা কাস্টমস। এ স্লোগানের বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে নিরলসভাবে কাজ করছেন কুমিল্লা কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী।
# কুমিল্লা কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী। ফাইলফটো।
বিভিন্ন অভিযান পরিচালনায় এবং রাজস্ব জমাতেও সাফল্য আসছে একের পর এক। কাজের ক্ষেত্রে এমন সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় কুমিল্লা কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘প্রতিসময়’কে বললেন-‘করোনাকালে কুমিল্লা টিমে বিশেষ তৎপরতা অব্যাহত থাকে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা টিম ওয়ার্ক। যা কাজের গতিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। কমিশনারেটের অধীন ১৬টি সার্কেল এবং ৬টি বিভাগের সবাই আন্তরিকভাবে পরিশ্রম করছে। ভয়কে জয় করে সবাই মাঠে কাজ করছে। আমি মনে করি, দলবদ্ধ প্রচেষ্টা ও কাজের সুস্থ প্রতিযোগিতা এ অভূতপূর্ব সাফল্যের কারণ। আরেকটি বিষয় হল- অফিস সময় পার হবার পরও আমাদের কর্মকর্তারা বাড়তি সময় কাজ করছেন। কর্মকর্তাদের এধরণের মনোভাব প্রশংসনীয়। সর্বোপরি কর্মস্থলে দেশপ্রেম ও সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করায় সাফল্য আসছে।’
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on December 1, 2020 9:40 pm by প্রতি সময়