শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সাবেক মেম্বারের ছেলের ছুরিকাঘাতে যুবক আহত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : এমপি প্রাণ গোপাল দত্ত জাবিরের কবিতা ‘কখনো আসবে না’ এমপি প্রাণ গোপাল দত্তের উদ্যোগে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কার্জন খাল পুকুর জলাশয়ের কচুরিপানা ময়লা-আর্বজনা অপসারণের আহ্বান জানালেন কুসিক মেয়র দাউদকান্দিতে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু নিহত দাবদাহ থেকে একটু স্বস্তি দিতে পথচারীদের শরবত ও পানি পান করালো কুমিল্লার সংগীতশিল্পী পরিবার কুবিতে তিন কার্যালয়ে তালা, চাবি শিক্ষক সমিতির দায়িত্বে বিনামূল্যে সার বীজ পেলো নাঙ্গলকোটের কৃষকরা চান্দিনায় সড়কের বেহাল দশার সঙ্গে ঝুঁকি বাড়িয়েছে ভাঙ্গা কালভার্ট সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষক বরুড়ার মানুষ পরিবর্তন চায় : চেয়ারম্যান প্রার্থী হামিদ লতিফ ভূইয়া কামাল কুবি প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম শিক্ষক সমিতির তীব্র গরমে পথচারী ও নিম্নআয়ের মানুষের পাশে কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশ প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীরা দাউদকান্দিতে পুকুর থেকে মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার চান্দিনায় প্রতিবন্ধী নারী হত্যার দায়ে রংমিস্ত্রির মৃত্যুদণ্ড দাউদকান্দিতে একই পরিবারের চারজনের প্রাণ গেলো সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার কালিরবাজারে ছাত্রদলকর্মী হত্যা : সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আবারো আলোচনায় কুবির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সেই শিক্ষক

জাওয়াদ উর রাকিন খান, কুবি প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৭৭ দেখা হয়েছে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর কম দেয়ার অভিযোগ থাকা সেই শিক্ষককে আবারও একই ব্যাচে স্নাতকোত্তরের ক্লাস দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

 

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের (২০১৬-১৭ শিক্ষার্বষের)শিক্ষার্থীদের’এআরসি ৫১৩- কলোনিয়াল অ্যার্কিটেক অফ বাংলাদেশ’ নামের একটি কোর্স রয়েছে। আর এই কোর্সটি পড়াতে দেয়া হয়েছে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোর্শেদ রায়হানকে। তবে মোর্শেদ রায়হান একই ব্যাচে স্নাতক শেষ বর্ষের একটি কোর্স নিয়েছিলেন। সেই কোর্সে ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষার্থীদের নম্বর কম দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, এর আগেও আমাদের পরীক্ষার খাতায় তিনি নম্বর কম দিয়েছেন। এবার আবার উনাকে ক্লাস দেয়া হয়েছে। আমরা অনিরাপত্তায় আছি। এবারও তিনি আগের মত কিছু করবেন না এর নিশ্চয়তা নেই। মাস্টার্সে যদি আবার এমন হয়, তাহলে পরবর্তীতে এর প্রভাব তো আমাদের ক্যারিয়ারে আরো বড় আকারে পড়বে।

 

এ বিষয়ে মোর্শেদ রায়হান বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবো না। আপনারা বিভাগীয় প্রধানের সাথে কথা বলেন।

 

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, আমাদের কোর্সগুলো আগে থেকেই ঠিক করা থাকে। সেই হিসেবে কোর্সটি দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো নির্দেশনা নেই যে তিনি (মোর্শেদ রায়হান) কোর্স নিতে পারবেন না।

 

নিরাপত্তাহীনতায় আছেন শিক্ষার্থীরা এ জন্য বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কী পদক্ষেপ নিবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শিক্ষক শিক্ষার্থীর সম্পর্কের মধ্যে এই বিষয়টি ঘটাটা খুবই বিব্রতকর। আমার মনে হয় না বর্তমানের যে পরিস্থিতি তাতে কোনো শিক্ষক আর এই ধরনের কোন কাজ সম্পর্কে ভাববে। শিক্ষকরা অনেক বেশি সচেতন থাকবে। শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হলে যদি আমাকে জানায় আমি শিক্ষকের সাথে আলোচনা করবো।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, এ বিষয়টি আমি অবগত না। আগামীকাল গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবো।

 

‘ট্যুরিজম এন্ড হেরিটেজ ম্যানেজমেন্ট’ নামক কোর্সে ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর কম দেয়ার অভিযোগের প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর উক্ত কোর্সের খাতগুলো জব্দ করে এই কোর্সে বিশেষজ্ঞ কাউকে দিয়ে খাতগুলো পুনরায় মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছিল।

 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, শিক্ষক সমিতির কনফারেন্স থাকায় কাজ করা হয়নি। তবে, আমরা আগের খাতাগুলো জব্দ করেছি। ওই কোর্সে বিশেষজ্ঞ কাউকে দিয়ে খাতাগুলো আবারও দেখানো হবে। যদি দেখা যায় নম্বর ২০% এর মধ্যে রয়ে গেছে তাহলে তো সমস্যা থাকে না। কিন্তু যদি এর বাইরে চলে যায় তাহলে আমরা তদন্ত করে দেখব। শিক্ষার্থীদের যেন ক্ষতি না হয় আমরা সেটাই চাইবো।

 

উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর প্রত্নতত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ৮ম সেমিস্টারের ‘ট্যুরিজম এন্ড হেরিটেজ ম্যানেজমেন্ট’ নামক একটি কোর্সের বিফোর ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট শিট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এই কোর্সটি পড়িয়েছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোর্শেদ রায়হান। দুই পাতার রেজাল্ট শিটে দেখা যায় যায়, ৪০ নম্বরের বিফোর ফাইনাল পরীক্ষার মধ্যে দুটি মিড-টার্ম পরীক্ষা থাকে ১০ নম্বরের। এর মধ্যে দ্বিতীয় মিড-টার্ম পরীক্ষায় দশ নম্বরে এক নম্বরের নিচে পেয়েছেন তিন জন। যাদের ২ জন পেয়েছেন ০.৬৭ ও একজন ০.৩৩। এছাড়াও দুই নম্বরের নিচে ১৩ জন, তিন নম্বরের নিচে ১৭ জন এবং চারের নিচে পেয়েছেন ৪ জন শিক্ষার্থী।

Last Updated on November 12, 2022 9:07 pm by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102