তের বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।এ ঘটনায় পুলিশ সম্রাট নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর গ্রামে পুকুর পাড়ে শাক তুলতে গিয়ে ওই কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়।এঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মেঘনা থানায় গত রবিবার তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আটক যুবক সম্রাটকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ০৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ওই কিশোরী তার আট বছরের ভাগ্নিকে নিয়ে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে শাক তুলতে যায়। পথে মানিকারচর গ্রামের হৃদয় আহমেদ (২১), মো. হৃদয় (২০) ও সম্রাট (১৮) কিশোরীকে পথ রোধ করে। সম্রাট কিশোরীর ভাগ্নির মুখ চেপে ধরে দূরে নিয়ে যায়। অন্য দুইজন কিশোরীর মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার চিৎকারে মা ও বড় বোন এগিয়ে গেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
কিশোরীর মা সাংবাদিকদের জানান, আমরা গরিব মানুষ, স্বামী অসুস্থ। আমি ২০০ টাকা রোজে প্রতিদিন মাটি কাটার শ্রমিকের কাজ করি। এর আগেও অনেকবার ওরা রাস্তাঘাটে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেছে। মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি। মেয়ের এই সর্বনাশের উপযুক্ত বিচার চাই।
মেঘনা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ বলেন, আমরা আসামি সম্রাটকে গ্রেফতার করেছি। সে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আলামতসহ কুমিল্লা মেডিকেলে পাঠিয়েছি।
Last Updated on February 9, 2021 11:46 pm by প্রতি সময়