শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
বৃষ্টির প্রার্থনায় টাউন হল মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় সাবেক মেম্বারের ছেলের ছুরিকাঘাতে যুবক আহত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : এমপি প্রাণ গোপাল দত্ত জাবিরের কবিতা ‘কখনো আসবে না’ এমপি প্রাণ গোপাল দত্তের উদ্যোগে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কার্জন খাল পুকুর জলাশয়ের কচুরিপানা ময়লা-আর্বজনা অপসারণের আহ্বান জানালেন কুসিক মেয়র দাউদকান্দিতে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু নিহত দাবদাহ থেকে একটু স্বস্তি দিতে পথচারীদের শরবত ও পানি পান করালো কুমিল্লার সংগীতশিল্পী পরিবার কুবিতে তিন কার্যালয়ে তালা, চাবি শিক্ষক সমিতির দায়িত্বে বিনামূল্যে সার বীজ পেলো নাঙ্গলকোটের কৃষকরা চান্দিনায় সড়কের বেহাল দশার সঙ্গে ঝুঁকি বাড়িয়েছে ভাঙ্গা কালভার্ট সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষক বরুড়ার মানুষ পরিবর্তন চায় : চেয়ারম্যান প্রার্থী হামিদ লতিফ ভূইয়া কামাল কুবি প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম শিক্ষক সমিতির তীব্র গরমে পথচারী ও নিম্নআয়ের মানুষের পাশে কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশ প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীরা দাউদকান্দিতে পুকুর থেকে মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার চান্দিনায় প্রতিবন্ধী নারী হত্যার দায়ে রংমিস্ত্রির মৃত্যুদণ্ড দাউদকান্দিতে একই পরিবারের চারজনের প্রাণ গেলো সড়ক দুর্ঘটনায়

অনিয়ম-দূর্নীতির প্রতিবাদে কুবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

তুষার ইমরান, কুবি প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪
  • ২৭ দেখা হয়েছে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়োগ/ পদোন্নতিতে বিধিবহির্ভূত অবৈধ শর্তারোপ ও পদোন্নতি বঞ্চিতকরণ, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ডিন ও বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ এবং তথ্য গোপন করে ইনক্রিমেন্টের নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, গবেষণা ফান্ড থেকে জালিয়াতি করে অর্থ লুটসহ সকল আর্থিক জালিয়াতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

 

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রশাসনিক ভবনস্থ বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন সম্পন্ন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক।

 

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

 

অধ্যাপক গ্রেড-২ পদে পদোন্নতি বঞ্চিত অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উপাচার্য যে-সকল আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন, সেগুলো আইনের মধ্যে নিয়ে আসেন। আমরা এ কর্মসূচিতে থাকতে চাই না। আমরা শিক্ষক, ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। শিক্ষক সমিতি থেকে যে সাতটি দাবি দেওয়া হয়েছে এ দাবিগুলোর দু’ একটি দাবি ছাড়া বাকী দাবিগুলো পূরণ করার জন্য কোন ধরনের সিন্ডিকেট লাগে না। আপনি চাইলেই শিক্ষক সমিতির সাথে কথা বলে দাবিগুলো সমাধান করতে পারেন। কিন্তু আপনি (উপাচার্য) এ দাবিগুলো পূরণ করছেন না। আপনি কী চাচ্ছেন শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে না যাক?

 

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, উপাচার্য নিয়োগের পর থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, বৈষম্যমূলক আচরণ এবং যে সকল আর্থিক কেলেঙ্কারির করে যাচ্ছে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ উপাচার্য শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। শিক্ষকরা আজ নানা রকম বৈষম্যের শিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তিনি বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও দুই বছর ধরে কমিটির নাম করে শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে রেখেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধিমালা উপেক্ষা করে নিজের পছন্দমতো একেকজনকে একেক রকম শর্ত আরোপ করে শিক্ষকদের পদোন্নতি বৈষম্য তৈরি করেছেন। এছাড়াও স্থায়ী করণের ক্ষেত্রে একই পাবলিকেশন দিয়ে কাউকে স্থায়ী করছেন, কাউকে করছেন না। শুধু তাই নয় প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর দরদাতা কোম্পানিকে কাজ না দিয়ে ২৬ লক্ষ টাকা বেশি ব্যয়ে নাম সর্বস্ব কোম্পানিকে কাজ দিয়েছে এ তথ্যও আমাদের কাছে রয়েছে। তিনি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি করছেন না বরং সরকারের ক্ষতি করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির টাকা কোন খাতে এবং কীভাবে ব্যয় করেন সেটার হিসেব আমরা কেউ জানি না। নিয়ম না মেনে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেছেন। প্রতি বছরে উপাচার্যের টাকা বাড়ে অথচ শিক্ষকদের উপর ট্যাক্স কর্তন করে টাকা কেটে নেওয়া হয়। বিগত বছরগুলোতে শিক্ষকদের সাথে উপাচার্যের ভর্তি পরীক্ষা সম্মানির অনুপাতের পার্থক্য দুই কিংবা তিনগুণ ছিল। কিন্তু বর্তমানে সে অনুপাতের ব্যবধান আট-দশগুন।

 

মানববন্ধনে শিক্ষকদের হাতে ‘নিয়োগ/পদোন্নতির বিধি বহির্ভূত শর্ত বাতিল করতে হবে; পদোন্নতি বঞ্চিতদের অবিলম্বে ডিউ ডেইট থেকে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে; কিশোর গ্যাং, অছাত্র ও পেটুয়া বাহিনীমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই; স্বেচ্ছাচারী আচরণ বন্ধ করুন শিক্ষকদের দাবি পূরণ করুন, উপাচার্য কার্যালয়ে শিক্ষকদের উপর বর্বরোচিত হামলার বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করুন; অধ্যাপক গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পদে পদোন্নতিতে টালবাহানা
কেন জবাব চাই; মনগড়া শিক্ষক ছুটি নীতিমালা বাতিল করুন, করতে হবে; উপাচার্যের অবৈধ ইনক্রিমেন্টসহ সকল আর্থিক জালিয়াতির বিচার চাই; শিক্ষকদের পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণে বৈষম্য কেন? জবাব চাই;শর্ত শিথিল ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে সকল অবৈধ নিয়োগ বাতিল করুন,করতে হবে ; আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ডিন/বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ কেন? জবাব চাই সম্বলিত বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা দেখা যায়।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ও ১৪ মার্চ এবং ২০ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত সকল ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন শিক্ষকরা।

Last Updated on March 25, 2024 11:14 pm by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!