ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ডিজিটাল সার্ভিলেন্স সিস্টেমের আওতায় আসছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার রাস্তা। এরি মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় পাশে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। বিশেষ এ সেন্সরযুক্ত ক্যামেরায় যানবাহনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি নির্দিষ্ট গতিসীমা ক্রস করা যানবাহনের নামে ভিডিও মামলা দেওয়ার সুবিধা রয়েছে।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার জুড়ে ৪৯০টি স্পটে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়ে অনেকটা শেষ পর্যায়ে। সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়াতে চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে মহাসড়ক। এই চারটি জোনে ১৪২৭টি সিসি ক্যামেরা বসছে। এডিপির অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে হাইওয়ে পুলিশ। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও যান চলাচল নির্বিঘ্ন করার পাশাপাশি দুর্ঘটনা ও অপরাধ প্রতিরোধ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হওয়ার পর অটোমেটিক নম্বর প্লেট শনাক্তকরণ, যানবাহনের গতিপথ নির্ধারণ, হাইস্পিড ডিটেকশন ও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারী যান দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে। ক্যামেরা স্থাপিত হলে অন্ধকার ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায়ও রাস্তায় চলাচলরত যানবাহনের নম্বর প্লেটের স্পষ্ট ছবি ধারণ ও সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা থাকবে। কোথাও কোনো ঝামেলা বা অপরাধের কারণে লোকসমাগম বেশি হলে মনিটরিং সেলে আগাম সংকেত চলে আসবে। আইন অমান্য করার পর পুলিশ না ধরলেও সমস্যা নেই। যানবাহনের ঠিকানায় মামলার কাগজপত্র চলে যাবে। মামলার তথ্য চলে যাবে যানবাহনের মালিকের মোবাইলেও। বিভিন্ন উন্নত দেশে এভাবেই যানবাহনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
জানা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বসানো সিসি ক্যামেরা কার্যক্রমকে টেস্ট হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এ মহাসড়কে সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়াতে চারটি জোন করা হয়েছে। এগুলো হলো- ঢাকা, কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রাম। এসব জোনের ২৫০ কিলোমিটার জুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। ৪টি জোনে ১ হাজার ৪২৭টি সিসি ক্যামেরা বসছে। গত কয়েদিন ধরে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশে চলছে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ।
কুমিল্লার পরিবহন নেতা অধ্যক্ষ কবির আহমেদ বলেন, এই সিস্টেম চালু হলে মহাসড়কে ডাকাতি রোধ হবে। মহাসকে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ ও দোষী শনাক্ত সহজ হবে। সাধারণ মানুষ নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবে। মহাসড়কে রপ্তানীপন্য চুরির ঘটনা বের করা সহজ হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম লোকমান হোসাইন বলেন, এই সিস্টেম চালু হলে অটোমেটিক নম্বর প্লেট শনাক্ত করা, যানবাহনের গতিপথ শনাক্ত, হাইস্পিড ডিটেকশন ও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করা যানবাহন দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে মহাসড়কে মানুষ নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারবে। এ প্রকল্প শেষ হলে মহাসড়কে সকল ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
Last Updated on December 31, 2023 7:55 pm by প্রতি সময়