সারাদেশে করোনার প্রভাবে মানুষের লোকচলাচল অনেকটা কমে গেলেও ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে রাজধানী ঢাকা হয়ে কুমিল্লা ফেনী,চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও অসংখ্য কোরবানীর গরু নিয়ে যেমন ব্যাপারীরা আসছে,তেমনি ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ সবসময় থাকে বেশী। ফলে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশী।
ঈদের এ পরিস্থিতিতে যাত্রী ও পশুবাহী যানবাহনের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছতে দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিন-রাত সেবা দিয়ে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। পাশাপাশি পণ্যবাহী বা খালি ট্রাক,কাভার্ডভ্যান,লরিতে যাত্রী পরিবহন বন্ধে তৎপর রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
জেলার দাউদকান্দি থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ১’শত কিলোমিটার অংশে হাইওয়ে পুলিশ দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি,ইলিয়টগঞ্জ,ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় ও চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজারে দিন-রাতে মোট ১২ টি টিম একটানা কাজ করছে। এসব টিমের সদস্যরা মহাসড়কের উল্লেখিতস্থানছাড়াও চান্দিনার মাধাইয়া,বুড়িচংয়ের কাবিলা,নিমসার ,সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি রাস্তার মাথা,পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড, সুয়াগাজীসহ গুরুত্বপূর্ণস্থানগুলোতেও হাইওয়ে পুলিশের টহল দল যানচলাচল নিরাপদে কাজ করে যাচ্ছে।
এঅবস্থায় মহাসড়কের উপর অলিখিত যানবাহনের স্ট্যান্ড বা যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে কিংবা পশুবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজিসহ গন্তব্যে যাওয়া প্রতিটি যানবাহনের যাত্রাপথ নির্বিঘ্নে হাইওয়ে পুলিশ পূর্বাঞ্চল কুমিল্লার অধীন এলক্ষ্যে
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি মো. সাফায়েত হোসেন জানান,কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম এর নির্দেশে ঈদ কে কেন্দ্র করে মহাসড়কে আমরা বিশেষ ভাবে তৎপর রয়েছি। গরুবাহী ট্রাক কিংবা যাত্রীবাহি পরিবহন যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেজন্য দিন-রাত কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। পাশাপাশি ঈদ কে ঘিরে চাঁদাবাজি কিংবা ছিনতাই রোধে সার্বিক নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক আছে।
তিনি আরো বলেন,পশুবাহী গাড়ি যেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারে অর্থাৎ যে গাড়ি যে বাজারে যাবে সেটা নিশ্চিতে ব্যবস্থা করা,অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো রোধে স্পীডগান ব্যবহার করে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোসহ পণ্যবাহী গাড়িতে লোক চলাচল বন্ধে কঠোরভাবে তা নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
Last Updated on July 28, 2020 1:46 pm by প্রতি সময়