বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যে যুদ্ধ হয়েছে, রেসকোর্সে যে অস্ত্র সমর্পণ হয়েছে সেখানে কারা কারা ছিল। আমরা যারা ইতিহাস পড়ি তারা জানি, আমাদের যে সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী তিনিই ছিলেন না। অথচ (ভারতের) আর্মির কাছে সারেন্ডার করেছে। এ বিষয়গুলো জানা দরকার। কেন কী কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারলেন না, কেন তাকে উপস্থিত হতে দেয়া হলো না। ‘৭৫ সালের পরে কেন কী কারণে এত বড় একটা রাজনৈতিক দল, একজন অবিসংবাদিত নেতা, কী কারণে দ্রুত এ দেশের মানুষের আস্থা হারালেন। এ জিনিসগুলো বোঝা দরকার, জানা দরকার।’
শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের উদ্যোগে ‘জিয়াউর রহমান : ইতিহাসের ধ্রুবতারা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি কখনও কাউকে ছোট করতে চাই না। যার যেটা পাওনা আছে সেটা তাকে দিতে হবে। পাওনাটা আছে যার, যিনি যুদ্ধ শুরু করলেন, অবস্থা পাল্টে দিলেন, যুদ্ধ শুরু করে দেশের স্বাধীনতার মূল কাজটা শুরু করলেন, তাকে একেবারে বাদ দিয়ে দিলেন? শুধু তাকে না, তাদের (আওয়ামী লীগের) লোকগুলোকেও বাদ দিয়েছে। ওসমানীর কথা একবারও বলে না। তাজউদ্দীনের কথা কেউ একবার উচ্চারণও করে না।’
আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে খল নায়ক বানাতে চায় মন্তব্য করে ওই অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে যে, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ছিলেন না। অনেকে বলেন তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেননি। তিনি পাকিস্তানের অনুচর ছিলেন। এভাবে তাকে একটা খলনায়কে পরিণত করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আজকে শিশুদের শেখানো হয় যে জিয়াউর রহমান হচ্ছেন কিলার। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সঙ্গে না-কি জিয়াউর রহমান জড়িত। এ কথা সব জায়গায় বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন যে কর্মী সবাই একই কথা বলেন। ওটাকে আমাদের কাউন্টার করতে হবে। আমরা যারা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি, শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাস করি। এটা বোঝাতে হবে যে এটা তো সঠিক নয়।’
বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ঢাবি সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, ঢাবির সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, ড. মোর্শেদ হাসান খান প্রমুখ।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on June 19, 2021 6:59 pm by প্রতি সময়