আমজাদ হোসেন। বয়স ষাটের কোঠায়। বেনাপোল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভবারবেড় গ্রামের বাসিন্দা।যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা ছিলেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর নিজের অর্থায়নে খুলেন ক্লিনিক। অসহায় গরীব রোগীদের বিনামূল্যে সবধরণের চিকিৎসাসেবা দিয়ে পরিচিতি পান গরিবের ডাক্তার।
করোনাকালেও বন্ধ থাকেনি রজনী নামের তার ক্লিনিক। সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতে দিতে নিজেই আক্রান্ত হলেন ঘাতক ভাইরাস করোনায়। কেবল গরীবদেরকেই নয়,সকল শ্রেণি-পেশার মানুষদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
শনিবার (০৪ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকার মীরপুর রিজেন্ট হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গরিবের ডাক্তার আমজাদ হোসেন। রবিবার (৫জুলাই) সকালে বেনাপোলে তার লাশ আনার পর নিজের প্রতিষ্ঠিত রজনী ক্লিনিকের সামনে জানাজা পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মন্ডল, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন প্রমুখ।
গত বুধবার (০১ জুলাই) দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো নমুনা থেকে চিকিৎসক আমজাদ হোসেনের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ওই দিন দুপুরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকার শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে মীরপুর রিজেন্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই শনিবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
Last Updated on March 14, 2024 4:51 am by প্রতি সময়