শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:০৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
টাউন হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোটের ‘বৈশাখ অবগাহন’ কুমিল্লা সদরে টুটুল পাবেল বকুল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চান্দিনায় বজ্রপাতে প্রাণ গেলো কৃষকের মুরাদনগরে বইছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া, চেয়ারম্যান পদে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র দাখিল ভবিষ্যত জীবনে আর্থিক সুরক্ষা দিবে সর্বজনীন পেনশন স্কীম : কুমিল্লা জেলা প্রশাসক অর্থসংকটে ভলিবল টিম পাঠাচ্ছেনা নোবিপ্রবি শিশু ঝুমুরের ধর্ষক ও হত্যাকারী গ্রেফতার, প্রেসব্রিফিংয়ে আবেগতাড়িত র‌্যাব অধিনায়ক নাঙ্গলকোটে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় রক্তাক্ত ব্যবসায়ী দেশপ্রেমিক ও স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে স্কাউট আন্দোলন এগিয়ে যাচ্ছে : ফারুক আহাম্মদ এলটি # যে বেশি প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার জানে সে আজকের পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধ : অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন লিটন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এক হাজার শ্রমজীবী ও পথচারীর মাঝে কুমিল্লা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের পানির বোতল বিতরণ মুরাদনগরে একই সঙ্গে পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো রোজা মনি ও ইয়াছিনের দেবিদ্বারে হামলার শিকার আ’লীগের নেতাকর্মীরা, অভিযোগ সাবেক এমপির নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য কারো আত্মীয়স্বজনের বিষয়ে আইনে বলা নেই : ইসি মুরাদনগরে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা গুনলো দেওয়ান মোক্তার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ অবশেষে কুবি উপাচার্যসহ ২০জনের নামে থানায় অভিযোগ মুরাদনগরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, অভিযোগের আঙ্গুল স্বামীর দিকে অসহনীয় গরমে মুরাদ নগরের একই বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ মুরাদনগরে আর্সি নদীতে বাঁধ দিয়ে ফসলি জমির মাটি নিচ্ছে ইটভাটায়  ‘পানি ঘন্টাধ্বনি’র সঙ্গে পরিচিত হলো কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লার বাহার – উন্নয়ন ও মানবিকতার মূর্ত প্রতীক

গাজী এমদাদ, কলামলেখক ও গবেষক
  • আপডেট টাইম রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৭৪৯ দেখা হয়েছে
# ফাইলফটো

# ২০০৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী আকম বাহাউদ্দীন বাহারকে পরিচয় করিয়ে দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।ফাইলফটো।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশমাতৃকা হানাদারমুক্ত ও চুড়ান্ত স্বাধীন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার মধ্য দিয়ে যাঁর রাজনীতির সূচনা তিনি কুমিল্লার আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার-জনতার বাহার, আধুনিক কুমিল্লার উন্নয়নের রুপকার, কুমিল্লার সিংহ পুরুষ, কুমিল্লার গণমানুষের আপোষহীন নেতা। 

মহান মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে কুমিল্লার রাজনীতির মাঠে বৃহত্তর পরিসরে প্রবেশ ঘটে আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের। ‘৭৫ এর ১৫ আগষ্টের মর্মান্তিক বিয়োগান্তুক ঘটনার পর দলকে সুসংগঠিত করা ও জাতির পিতার হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেন তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার সহ কুমিল্লার নেতা- কর্মীরা। পরবর্তীতে কুমিল্লা শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন পালনের মধ্যে দিয়ে জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এইচ এম এরশাদ সরকার বিরোধী গণআন্দোলনে কুমিল্লার সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করেন। নব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখেন তিনি। গণমানুষের বিজয় ছিনিয়ে আনেন,পতন হয় স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদের।

আন্দোলন – সংগ্রামের মধ্যেই ১৯৮৪ সালে ও ১৯৮৯ সালে পরপর দু’ বার কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন  আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার। কুমিল্লার জনগণের শাসক নয়,সেবক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রেখে কুমিল্লা পৌরসভার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। কুমিল্লা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, রিকশাচালকসহ সকলের নিকট পরিচিত হন ” জনতার বাহার” হিসেবে।  পৌরসভার পর পর দু’ বারের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আবাসন, বিশেষ সুযোগ – সুবিধা এবং রিকশা চালকদের লাইসেন্স ফি কমিয়ে এনেছিলেন, নগরবাসীর হোল্ডিং টেক্সও কমিয়ে এনেছিলেন,ক্ষেত্র বিশেষে মওকুফও করেছিলেন,কুমিল্লা পৌরসভাকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী ও দেশের প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় রুপান্তর করেন।

নব্বই দশকের শুরুতে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলকে সুসংগঠিত করতে চষে বেড়ান তিনি জেলার এক উপজেলা হতে অন্য উপজেলায়, এক ইউনিয়ন হতে অন্য ইউনিয়ন ও গ্রামে। ‘৯৩ পরবর্তী সময়ে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে দীর্ঘ ২২ বছর আওয়ামী লীগের পদ পদবিবিহীন থেকে যান জননেতা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার, কিন্তু থেমে ছিলনা তাঁর দলীয় কর্মকান্ড,কুমিল্লা বাসীর সুখে-দুঃখে পাশে ছিলেন সবসময়। অবশেষে আওয়ামী লীগ সভাপতি,বঙ্গবন্ধু কন্যা  জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কুমিল্লায় দলকে গোছানোর মহান দায়িত্ব পুনরায় অর্পিত হয় জননেতা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের উপর। ২০০৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা -৬( সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পান তিনি। রেকর্ড সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে প্রতিপক্ষ বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার।

# কুমিল্লা টাউনহলে আ’লীগের জনসভায়.. ফাইলফটো।

জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েই কুমিল্লাবাসীর কল্যানে নিজেকে শপে দেন হাজী বাহার। এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে সমতার ভিত্তিতে উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন তিনি। স্হানীয় প্রশাসন ও  জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে বাস্তবায়িত করতে থাকেন তাঁর উন্নয়ন পরিকল্পনা।  ২০১৪ ও ২০১৮ তে পরপর দু’ বার কুমিল্লা – ৬ ( সদর) আসন হতে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর বাস্তবায়িত ও গৃহীত উন্নয়ন দৃশ্যমান হতে থাকে।  ” কুমিল্লা এগুলে বাংলাদেশ এগুবে” – এ’ শ্লোগান কে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অনুসৃত ও নির্দেশিত উন্নয়ন কর্মকান্ডকে গতি দিতে কুমিল্লায় নিরলসভাবে কাজ করতে থাকেন সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার।

কুমিল্লাবাসীর দীর্ঘদিনের মৌলিক সমস্যা সমূহকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে থাকেন দ্রুত গতিতে। স্বাধীনতার পর বিগত ১২ বছরে তাঁর নেতৃত্বে কুমিল্লায় যে সামগ্রিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা, সংক্ষেপে তুলে ধরা অসম্ভব। কুমিল্লাকে একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন, সন্ত্রাস ও মাদকাসক্ত এবং নিরাপদ নগরীতে রুপান্তরই তাঁর জন্য ছিলো বিরাট চ্যালেঞ্জ আর সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শতভাগ সফলতা প্রদর্শনে সক্ষম হয়েছেন তিনি। কুমিল্লাবাসীর সার্বিক সমর্থনে তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়েছে বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন। বহু প্রাচীন কুমিল্লা পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে রুপান্তর ছিলো তাঁর অন্যতম স্বপ্ন।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, সচিবসহ উর্ধতন মহলে দীর্ঘদিন যোগাযোগ ও চেষ্টায় অবশেষে কুমিল্লা পৌরসভা উন্নীত হয় সিটি কর্পোরেশনে। এটা সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের একক প্রচেষ্টারই ফল।  কুমিল্লায় বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন ১৯৮৮ সাল হতেই। এ লক্ষ্যে ঢাকা ও কুমিল্লায় বহু কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয় তাঁর নেতৃত্বে।

হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার-ই কুমিল্লার প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য যিনি মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে সংসদ নেতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কুমিল্লায় বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি তুলেন এবং এর যৌক্তিকতা অনুধাবণে সক্ষম হন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ  সংসদকে। চুড়ান্ত বিচারে সফলও হন সংসদ সদস্য হাজী বাহার। তাঁর জোরালো দাবি ও যৌক্তিকতা বিবেচনায়  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় বিভাগ করার বিষয়ে তাঁর সম্মতি জ্ঞাপন করেন।  অন্য কোন নামে নয় ” কুমিল্লা ” নামেই যেন কুমিল্লায় বিভাগ হয় সেলক্ষ্যে হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার সার্বক্ষণিক ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর  কথায়- ” কুমিল্লায় বিভাগ করার সব কিছু রয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের জিএম অফিস, ইপিজেড সহ সবকিছুই রয়েছে, দরকার হলো একজন ডিআইজি ও একজন বিভাগীয় কমিশনার”।

সংসদ সদস্য, জননেতা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের গতিশীল নেতৃত্বে কুমিল্লায় বিগত দিনে যেসব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটিঃ- কুমিল্লার শাসনগাছায় ফ্লাইওভার নির্মাণ – টা কুমিল্লাবাসীর জন্য হাজী বাহারের পক্ষ হতে সবচেয়ে বড় উপহার। অতীতে শাসন গাছা হয়ে কুমিল্লা শহরে প্রবেশ করতে  সংলগ্ন রেলগেটে দিনে কমপক্ষে ৫২ বার অপেক্ষা করতে হতো নূন্যতম ১০ মিনিট করে,তাতে মোট ৫২০ মিনিট সময় অপচয় হতো কুমিল্লাবাসীর। অনেক অসুস্থ ও মুমূর্ষু রোগীর প্রাণহানির আশংকা ছিলো! হাজী বাহারের  দীর্ঘদিনের ঘামঝরা পরিশ্রম ও চেষ্টায় শাসনগাছায় ফ্লাইওভার ঘিরে কুমিল্লাবাসী স্বস্তি পেয়েছে।

# শাসনগাছায় ফ্লাইওভার।

কুমিল্লা নগরীর উত্তর চর্থা এলাকায় অবস্থিত উপমহাদেশের সঙ্গীত জগতের অন্যতম পুরোধা সচিব দেব বর্মন ( এসডি বর্মন) এর ঐতিহাসিক বাড়িটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিলো, মাদকসেবিদের আখড়া ছিলো, সেখানে মুরগী পালন হতো, সংসদ সদস্য হাজী বাহার সে ঐতিহাসিক বাড়িটির অবৈধ উচ্ছেদ সাধন করে ব্যাপক সংস্কার করে বাড়িটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন।কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি  কলেজের ডিগ্রি শাখায় অবস্হিত বিভিন্ন ভবনের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দিয়েছেন, তাতে বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় শিক্ষক ও ছাত্র – ছাত্রীরা অনায়াসে ক্লাসে হাজির হতে পারছে। কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে বর্ষাকালে ক্লাসে পানি উপচে পড়তো,কলেজের মাঠ কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল – এমপি বাহার নিজে গিয়ে কলেজটির সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন, এখন ছাত্রীরা নির্বিগ্নে ক্লাস করতে পারছেন,এছাড়াও কলেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজও করেছেন তিনি।

বেগম রোকেয়া কে বাংলাদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়, অথচ একটা সত্যি অনেকেই জানেনা বেগম রোকেয়ার জন্মের অনেক পূর্বেই (১৮৩৪-১৯০৩) কুমিল্লার হোমনাবাদ- পশ্চিম গাও এস্টেটের জমিদার  নওয়াব  বেগম ফয়জুন্নেছা চৌধুরানি শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে আবির্ভূত হন। নারী শিক্ষা ও  জাগরণে নওয়াব ফয়জুন্নেছা কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠিত করেন” নওয়াব ফয়জুন্নেছা গার্লস হাই স্কুল”। সেই প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ফয়জুন্নেছা গার্লস হাই স্কুলের নতুন অডিটোরিয়াম নির্মাণ করে দেন হাজী বাহার।কুমিল্লা সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়ন কমপ্লেক্স নির্মাণ, কতিপয় ভূমি অফিস নির্মাণ, কুমিল্লা জিলা স্কুলের ছাত্র শহীদ আবু জাহিদ মিলনায়তনের সংস্কার, নজরুল ইন্সটিটিউটের নতুন ভবন নির্মাণ, কুমিল্লায় জাতীয় পর্যায়ে জন্ম জয়ন্তী উদযাপনের ব্যবস্থা, একুশে ফেব্রুয়ারি কে  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের অন্যতম প্রস্তাবক,কুমিল্লার কৃতি সন্তান রফিকুল ইসলামের নামে কুমিল্লা টাউন হলের মাঠে” মুক্তমঞ্চ” নির্মাণ – যেখানে সাংস্কৃতিক চর্চা হচ্ছে, কুমিল্লা সদর উপজেলার সকল মসজিদ ও কবরস্থানে জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা, সমস্ত হাই স্কুলে সিসি ক্যামেরা, প্রজেক্টর, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, বাখরাবাদ হতে বাতাইছড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, কুমিল্লার ধর্মপুর এলাকার কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের জন্য জায়গা নির্ধারণ ও নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজের জন্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ রোডে ভবন নির্মাণাধীন, কুমিল্লা জজ কোর্টে কয়েকটি বহুতল ভবন নির্মাণ, কুমিল্লা সার্কিট হাউসকে বহুতল ভবনে রুপান্তর কাজ শেষ পর্যায়ে।

# সংস্কার, আধুনিকায়নে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম । 

কুমিল্লা ষ্টেডিয়ামের সংস্কার, আধুনিকায়ন এবং পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ১৯৪৮ সালে বাংলা কে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা করার প্রস্তাবক,কুমিল্লার কৃতি সন্তান শহীদ এডভোকেট ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ, কুমিল্লার সকল মন্দির,মসজিদ, গীর্জা, প্যাগোডায় ব্যক্তিগত অনুদান প্রদান, প্রবাসী কুমিল্লা বাসীদের সম্মাননা প্রদান, যেহেতু বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি তে সবসময়ই এগিয়ে আছে কুমিল্লা। কৃষি ও মৎস্য শিল্পে প্রণোদনা প্রদান,যেহেতু বাংলাদেশে কৃষি পন্য ও মৎস্য উৎপাদনে কুমিল্লা সবসময়ই প্রথম স্হান দখল করে আছে।

গোমতী নদীর উত্তর পাড়ে ছত্রখিলে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার  নতুন ও স্হায়ী ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ ও কাজ চলমান, গোমতী নদীর উপর টিক্কার চর, পালপাড়া ও আমতলী ব্রিজ নির্মাণ, বিবির বাজার স্হলবন্দর সড়ক নির্মাণ সহ অসংখ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সংসদ সদস্য, হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের ৩য় মতো  বারের মতো দায়িত্ব পালন কালে।  এছাড়া আরও বহু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।  কুমিল্লা শহর ও সদর উপজেলার  কোন সড়কই এখন পাকা, কাঁচা রাস্তা কোথাও নেই।

# করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর সময়ে রাস্তায় নেমে মানুষকে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা।

সবচেয়ে বেশি মানবিক কাজ করেছেন তিনি মহামারী করোনা পরিস্থিতি কালে। মার্চ মাস হতেই   কুমিল্লার মানুষের পাশে ছিলেন জননেতা হাজী বাহার। ৬ মাস কুমিল্লায়  অবস্থান করে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কুমিল্লা বাসী কে শক্তি,সাহস যুগিয়েছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও  নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। ৫০ হাজারের বেশি মাস্ক ও স্যানিটাইজার ও তিন লাখ সাবান বিতরণ করেছেন, সিটি কর্পোরেশন ও ফায়ার ব্রিগেডের মাধ্যমে পুরো নগরী তে জীবাণু নাশক ঔষধ ছিটানোর ব্যবস্থা করেছেন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত সভা করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত ও লক ডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,  কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনট চালুর ব্যবস্থা নিয়েছেন,  ১৮টি আইসিউ বেড স্হাপন করেছেন, চিকিৎসা সেবা সহজীকরন ও বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণও করেছেন।করোনা কালে তাঁর ব্যক্তিগত সহায়তা হতে বঞ্চিত হননি সেলুন, মুচি, ফুটপাতের হকার, ভ্যানড্রাইভার, স্বর্নশিল্পী, বাবুর্চি, মিষ্টি দোকানের কর্মচারী, কাঠমিস্ত্রী, বার্ণিশ মিস্ত্রী, জেলে সম্প্রদায়, মুদ্রণ শিল্পী, অসচ্ছল ক্রীড়া, সংস্কৃতি সেবী ও সর্বস্তরের দুঃস্ব অসহায় পরিবার। করোনা কালে বিগত ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে ১৮ হাজার পরিবারের মাঝে উন্নত মানের খাবার বিতরণ করেছেন। করোনার মহামারিতে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে যে ক’জন জাতীয় সংসদ সদস্য সেবার মনোভাব নিয়ে এলাকার মানুষের পাশে ছিলেন কুমিল্লা -৬( সদর) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার তাঁদের অন্যতম।

বর্তমানে কুমিল্লার গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন জননেতা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এমপি। কুমিল্লা বাসীকে সাথে নিয়ে, তাদের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।  পুরনো, ইট, সুরকি দিয়ে তৈরি, প্রায় ভঙ্গুর, জরাজীর্ণ, পুরনো কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তন ও গণপাঠাগারের আধুনিকায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে টাউন হলটির যে অবস্থা তাতে যে কোন সময় ‘৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ট্রাজেডির মতো হতে পারে,মারা যেতে পারে কিংবা আহত,পঙ্গুত্ব বরন করতে হতে পারে অনেককে। আর গণপাঠাগার বলতে সেখানে বর্তমানে যেটি আছে তা কেবল একটি ‘বুক সেল্প’।

# কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তন ও গণপাঠাগারের আধুনিকায়নের নকশা।

জননেতা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এ টাউন হল ও পাঠাগারটির মূল নকশা ঠিক রেখে আধুনিক সমস্ত সুযোগ – সুবিধা নিশ্চিত করে নতুন ডিজাইন তৈরি করে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ে ডিও লেটার পাঠিয়েছেন- যেখানে বিরাট অডিটোরিয়াম, সাংস্কৃতিক বলয়, শিল্প ও সাহিত্য চর্চার সুন্দর পরিবেশ, বড় পার্কিং, ফুড কোর্ট, নামাজের স্হান, বাচ্চাদের খেলার জায়গা সহ আধুনিক সব সুযোগ – সুবিধা থাকবে প্রস্তাবিত নতুন ডিজাইনে। ঢাকায় কুমিল্লার বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে বৈঠক করে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন জননেতা হাজী বাহার, কুমিল্লায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালেও গণমাধ্যম কর্মীরা প্রস্তাবিত নতুন ডিজাইনের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়েছেন।  ইতিমধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় গঠিত টীম পরিদর্শনে এসেছিলেন টাউন হল ও পাঠাগারটি।  আগামী ১৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা টাউন হলে গণশুনানি হবে এ’ ইস্যুতে। কুমিল্লার সর্বস্তরের জনগণ সেদিন উপস্থিত থেকে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জ্ঞাপন করবে সেদিন। কোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত কুমিল্লার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবেনা। কুমিল্লা বাসীর উন্নয়নে একজন  জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার সবসময় জনগনের পাশে আছেন। তাঁর প্রবর্তিত শ্লোগান ” কুমিল্লা এগুলে বাংলাদেশ এগুবে “- ইতিমধ্যেই কুমিল্লার গন্ডি পেরিয়ে এ শ্লোগান আজ জাতীয় পর্যায়ে সুপ্রতিষ্ঠিত।

(লেখক পরিচিতিঃ গাজী এমদাদ, সাবেক ছাত্রনেতা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ,সাংবাদিক, কলামলেখক ও গবেষক)

# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন।  এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।

Last Updated on December 13, 2020 11:00 am by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!