লেবাননের রাজধানী বৈরুতে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত রেজাউলের কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সংসারের উপার্জনক্ষম সন্তানের অকাল মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গোটা পরিবার। গ্রামের স্বজনরা নিহত রেজাউলের মা-বাবাকে শান্তনা দিতে এসে তারাও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মাধবপুর সিকদার বাড়ির মনির হোসেনের ছেলে রেজাউল সিকদার (৩০) পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে নয় বছর আগে লেবাননে পাড়ি জমান। বছর দুয়েক আগে তার ছোট ভাই মাহাবুব সিকদারকেও লেবাননে নিয়ে যান। লেবাননের রাজাধানী বৈরুতে একটি ওয়্যার হাউজের পাশে রেজাউল ও মাহাবুব দুই ভাই জ্বালানি তেলের পাম্পে চাকরি করতো।
মঙ্গলবার ৪ আগষ্ট বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভবনের দেওয়ালের কাঁচ ভেঙ্গে রেজাউল ও মাহাবুবের উপরে পরে। এতে রেজাউল শিকদার ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং তার ভাই মাহাবুব সিকদার গুরুতর আহত হয়।
রেজাউলের মা জানান, ‘তাদের পরিবারে একমাত্র উপর্জনকারী ছিলো দুই ছেলে রেজাউল ও মাহাবুব। রেজাউল দেশে এসে বিয়ে করার কথা ঠিকঠাক ছিলো। করোনা ভাইরাসের কারনে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় আমার ছেলেরা দেশে আসতে পারেনি। আমার ছেলে রেজাউলকে দীর্ঘ নয় বছর যাবত দেখি না। কত আশা নিয়ে অপেক্ষা ছিলাম আমার ছেলেকে দেখবো এবং দেশে আসলে বিয়ে করাবো। এখন আমার এক ছেলে নিহত আরেক ছেলের কি অবস্থা তাও জানি না। আমাদের সব আশা শেষ’।
রেজাউলের বাবা, মনির হোসেন সিকদার বলেন, ‘আমার মৃত ছেলেকে আমরা এক নজর দেখতে চাই। আমার ছেলে রেজাউলের মৃতদেহ ও আহত মাহাবুবকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে সরকারের কাছে আকুল অবেদন জানাচ্ছি’।
Last Updated on August 6, 2020 3:19 pm by প্রতি সময়