বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০২:৪১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
নাঙ্গলকোটে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় রক্তাক্ত ব্যবসায়ী দেশপ্রেমিক ও স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে স্কাউট আন্দোলন এগিয়ে যাচ্ছে : ফারুক আহাম্মদ এলটি # যে বেশি প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার জানে সে আজকের পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধ : অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন লিটন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এক হাজার শ্রমজীবী ও পথচারীর মাঝে কুমিল্লা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের পানির বোতল বিতরণ মুরাদনগরে একই সঙ্গে পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো রোজা মনি ও ইয়াছিনের দেবিদ্বারে হামলার শিকার আ’লীগের নেতাকর্মীরা, অভিযোগ সাবেক এমপির নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য কারো আত্মীয়স্বজনের বিষয়ে আইনে বলা নেই : ইসি মুরাদনগরে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা গুনলো দেওয়ান মোক্তার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ অবশেষে কুবি উপাচার্যসহ ২০জনের নামে থানায় অভিযোগ মুরাদনগরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, অভিযোগের আঙ্গুল স্বামীর দিকে অসহনীয় গরমে মুরাদ নগরের একই বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ মুরাদনগরে আর্সি নদীতে বাঁধ দিয়ে ফসলি জমির মাটি নিচ্ছে ইটভাটায়  ‘পানি ঘন্টাধ্বনি’র সঙ্গে পরিচিত হলো কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা মুরাদনগরে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশার নারী যাত্রী নিহত দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : ‘আমরা আপনাদের বলবো কে মাঠে থাকবেন, কে থাকবেন না’ কোষাধ্যক্ষের গাড়ি আটকে দিল কুবি শিক্ষক সমিতি চান্দিনায় সড়ক পাকাকরণ কাজের উদ্বোধন করলেন এমপি প্রাণ গোপাল দত্ত বরুড়ায় মেয়ে অপহরণের মামলা করে ঘর ছাড়া বাবা-মা বৃষ্টির প্রার্থনায় টাউন হল মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় সাবেক মেম্বারের ছেলের ছুরিকাঘাতে যুবক আহত

ধান ক্ষেতে টুংরো ভাইরাসের আক্রমনে দিশেহারা নাঙ্গলকোটের কৃষকরা

মজিবুর রহমান মোল্লা,স্টাফ রিপোর্টার (নাঙ্গলকোট) কুমিল্লা
  • আপডেট টাইম সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৪৯ দেখা হয়েছে

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চলতি আমন মৌসুমে ধান ক্ষেতে ব্যাপকহারে টুংরো ভাইরাসে আক্রমণ করেছে। ফলে মাঠজুড়ে আমন ধান ক্ষেত হলুদ বর্ণ ধারণ করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধানের থৌ বের হওয়ার সময় ভাইরাসের আক্রমনে ধান নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

 

নাঙ্গলকোট পৌর সদরসহ ১৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কয়েক হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষেত টুংরো ভাইরাসে আক্রমন করে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। কৃষকরা তাদের ক্ষেতে বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।

 

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্যাপকহারে টুংরো ভাইরাসের আক্রমনে মাঠের পর মাঠজুড়ে আমন ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ওষুধ প্রয়োগ করে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে চাপা কান্না বিরাজ করছে।

 

কৃষকরা জানান, হাজার-হাজার টাকা ব্যয় করে তারা জমিতে ফসল বুনেছেন। ধানের অবস্থাও ভাল ছিল। স্বপ্ন দেখছিলেন গোলা ভরে ঘরে ধান উঠার। কিন্তু টুংরো ভাইরাসে তাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে। কৃষকরা টুংরো ভাইরাসকে স্থানীয় ভাষায় জন্ডিস রোগ বলছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন ধানের গোড়া পচা রোগ। প্রকৃতপক্ষে এটি কি ধরণের রোগ সেটা এখনো কৃষকরা সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না। তবে কৃষি বিভাগ বলছে এটি টুংরো ভাইরাস। আমন ধানের বীজ তলায় কীটনাশক স্প্রে না করে ধানের চারা রোপণ করায় এবং জমিতে জলাবদ্ধতায় জন্ম নেয়া ঘাস ও ফড়িং পোকার আক্রমণ থেকে টুংরো ভাইরাস জন্ম নেয়। অন্যদিকে সুষম সার প্রয়োগ না করার ফলে টুংরো ভাইরাস আক্রমণ করার একটি কারণ বলে তারা জানান।

 

কৃষকদের অভিযোগ, তারা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শের জন্য মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পায় না। এত বাধ্য হয়ে কৃষি বিভাগের কোন পরামর্শ বা সহযোগিতা ছাড়া কৃষকরা ধানসহ বিভিন্ন ফসলাদি আবাদ করে আসছেন এবং রোগ বালাই দমনে সার ওষুধ প্রযোগ করছেন। উপজেলার নাঙ্গলকোট পৌরসদর, বাঙ্গড্ডা, পেড়িয়া, রায়কোট উত্তর, দক্ষিণ, হেসাখাল, মক্রবপুর, আদ্রা উত্তর, দক্ষিণ, জোড্ডা পূর্ব, পশ্চিম, মৌকরা, ঢালুয়া, দৌলখাঁড়, বক্সগঞ্জ, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ধান ক্ষেতে ব্যাপকহারে টুংরো ভাইরাসের আক্রমণ বেশি। দিন দিন এর পরিধি বেড়েই চলছে। এতে এ উপজেলার কৃষকরা একদিকে ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অপরদিকে চলতি বছর এ উপজেলায় ধান উৎপাদন লক্ষমাত্রা চরম ভাবে ব্যাহত হবে।

 

দৌলখাঁড় ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার আলী নোয়াব বলেন, দৌলখাঁড় ইউনিয়নের ৬০ ভাগ জমির ধান হলুদ বর্ণ ধারণ করে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকদের লাখ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অথচ কৃষি অফিসের কোন লোকজন খবরও নিচ্ছে না।

 

করপাতি গ্রামের কৃষক রকিব উদ্দিন বলেন, জমিনে ধান রোপণ থেকে আগাছা ধমন, সার ও কীটনাশক প্রয়োগে অন্তত ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। টুংরো পোকার আক্রমনে সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও জমির ধান রক্ষা করতে পারিনি।

 

একই গ্রামের আবদুর রশিদ বলেন, আমার ১ একরেরও বেশী জমির আমন ধান হলুদ বর্ণ ধারণ করে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি কর্মকর্তাদের কোন সহযোগিতা পাইনি।

 

শ্রীফলিয়া গ্রামের কৃষক আবুল খায়ের বলেন, আমার ৩৬ শতক জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের কোন পরামর্শ পাওয়া যায়নী। ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে আমাকে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকতে হবে।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলায় রোগটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। কিছু বীজের কারণে সমস্যাটি দেখা দিয়েছে। যেখানে ভাইরাসটি বেশি আক্রমণ করেছে তা রিকভার করা সম্ভব নয়। কিছু বীজ জাত চিহ্নিত করে তা বর্জন করতো হবে। দায়িত্বরত কোন কর্মকর্তা দায়িত্বে অবহেলা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবেে।

Last Updated on November 7, 2022 7:57 pm by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!